হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়নে প্রশাসনের বিশেষ অভিযান শুরু

লিখেছেন লিখেছেন এফ শাহজাহান ১১ জুন, ২০১৩, ০৪:৩১:৩৮ বিকাল



হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিকে সরকার অস্বীকার এবং এটাকে মধ্যযুগীয় দাবি হিসেবে অখ্যায়িত করলেও এখন সেই সব দাবি বাস্তবায়নে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা হেফাজতে ইসলামের এসব দাবিকে ঠাট্টা মশকরা করে দেশকে ১৪শ বছর পিছিয়ে দেয়ার আশংকা ব্যক্ত করলেও বিষ্ময়করভাবে মাত্র এক মাসের মাথায় হেফাজতের ঐসব দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।

হেফাজতের ১৩ দফার মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত ছিল নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা,অশ্লীলতা বেহায়াপনা বন্ধ করা। হেফাজতের এই দাবিকে সরকারের পক্ষ থেকে মারাত্মকভাবে আক্রমন করা হলেও সর্বপ্রথম সরকার সেই দাবি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। বগুড়া থেকে শুরু হয়েছে হেফাজতের সেই দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের বিশেষ অভিযান। বগুড়ার প্রশাসন আজ মঙ্গলবার শহরের একটি পার্কে অীভযান চালিয়ে নরী পুরুষের সহাবস্থান,অশ্লীলতা,বেহায়াপনার অভিযোগে দুই’শ জোড়া নারী পুরুষকে আটক করেছে। ভ্রাম্যমান আদালত তাদের দন্ডও দিয়েছে। বিশ্বাস করতে আপনার কষ্ট হলেও এটাই বাস্তবতা।

মঙ্গলবার বগুড়ায় শিশু বিনোদন কেন্দ্র ওয়ান্ডার ল্যান্ডে অশ্লীলতা এবং অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই’শ প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আটককৃতদের অর্থদন্ড দিয়েছে। এদের অধিকাংশই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ার কারনে আদালত বিশেষ বিবেচনায় কারাদন্ড না দিয়ে শুধু জরিমানা আদায় এবং সতর্ক করেই ছেড়ে দিয়েছে।

দুপুরে বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পুলিশের সহায়তায় শহরের খান্দার এলাকায় অবস্থিত ওয়ান্ডার ল্যান্ডে অভিযান চালায়। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগলদের অবস্থান দেখতে পেয়ে তাদের সবাইকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত এসব প্রেমিক যুগলের বিভিন্ন অংকের অর্থদন্ড আদায় করে এবং তাদের সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।

এবিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি জানান,এরকম একটি শিশু বিনোদন কেন্দ্রে অবাধে নারী পুরুষের দৃষ্টিকটু অবস্থান,অশ্লীলতা এবং নানা অসামাজিক কর্মকান্ড কোনমতেই মেনে নেয়া যায়না। এজন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে আটককৃতদের অধিকাংশই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হওয়ায় বিশেষ বিবেচনায় তাদের কারাদন্ড না দিয়ে শুধু অর্থদন্ড করা হয়েছে।

ওয়ান্ডার ল্যান্ডের ব্যবস্থাপক জানান,এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী। এরা অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এখানে এসে নিয়মিত অবস্থান করতো। কর্তৃপক্ষ তাদের বার বার সতর্ক করলেও কোন ফল হয়নি।

এবিষয়ে আটককৃত প্রেমিক যুগলরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বান্ধবীদের নিয়ে পার্কে ঘুরে বেড়ানো যদি অপরাধ হয় তাহলে হেফাজতে ইসলামের দাবিইতো সঠিক ছিল। সরকার একদিকে হেফাজতের দাবিকে অস্বীকার করবে আবার সেই দাবি বাস্তবায়নে অীভযান চালাবে তা হতে পারে না। সরকার যদি হেফাজতের দাবিই বাস্তবায়ন করবে তাহলে আগে এসব পার্ক বন্ধ করে দিচ্ছে না কেন?। আপনি কী মনে করছেন ?

বিষয়: Contest_mother

১৪৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File